শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১০

ভামোস ভামোস 'আর-জিতি-না'

লিখেছেন কুটুমবাড়ি (তারিখ: রবি, ২০১০-০৭-০৪ ০২:৩১) @ সচলায়তন
ক্যাটেগরী: |
১.
ভামোস ভামোস 'আর-জিতি-না'
কী ভয়ানক চাট্টি গোল!
লম্ফ-ঝম্ফ আর-দিতি-না?
দুলিয়ে মাজা, বাজিয়ে ঢোল!
২.
কই রে পিসি, কই রে ম্যাসি,
এইটা কী কয় 'মার-দিও-না'
নাচমু না আর ট্যাংগো বেশি
চাট্টি দিছ, আর-দিও-না!

শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০১০

ফেসবুক এবং নিষিদ্ধ গন্ধম

লিখেছেন কুটুমবাড়ি (তারিখ: রবি, ২০১০-০৬-০৬ ২২:১৩) @ সচলায়তন
ক্যাটেগরি : | | | |
দেশে কোনো সরকার আছে কি না এ নিয়ে অনেকেই সন্দিহান হয়ে পড়ছিলেন। সম্প্রতি সেইসব আপামর ম্যাঙ্গো পিপলকে দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছে সরকার বাহাদুর। ফেসবুক আবার চালু হয়েছে দেশে। সরকার যে দেশে ভালো কিছু চালু করতে পারেন তা আরও একবার প্রমাণিত হলো।
অনেক মুখপোড়াই বলেন যে সরকারের হ্যাডম নাই এম্রিকারে চটায়। তারা যে কত বড় বোকার

প্রমিত বাংলা বানানরীতি, প্রশ্ন অপরিমিত : প্রয়োজন, দায়, না বাতুলতা?

লিখেছেন কুটুমবাড়ি (তারিখ: মঙ্গল, ২০১০-০৬-২২ ০৮:০৭) @ সচলায়তন
ক্যাটেগরি :
‘বাংলা একাডেমী’ প্রবর্তিত প্রমিত বাংলা বানানরীতি সম্বন্ধে না জেনেই তা উড়িয়ে দেবার একটা প্রবল প্রবণতা রয়েছে আমাদের মধ্যে। বাংলা ভাষায় একটা প্রমিত বানানরীতি যে প্রায় দাঁড়িয়ে গেছে তা মেনে নিতেও আমাদের ভীষণ আপত্তি। একটা ভাষা যদি তার সব ব্যবহারকারীর জন্য হয় তো তার বানানের ক্ষেত্রে একটা মানরীতিই সব থেকে নিরাপদ যা সকলের জন্য সহজবোধ্য। প্রমিত বানানরীতি অনুসরণ না করার অন্ধ প্রতিজ্ঞা

আমি ডাক্তার নই

লিখেছেন কুটুমবাড়ি (তারিখ: রবি, ২০১০-০৬-১৩ ২৩:৩৫) @ সচলায়তন 
রোবটরা আমাকে ভালোবাসে।
অবশ্য রোবটদের পক্ষে যতটা সম্ভব ততটা। এবং জৈবনিক বিচারে, অবশ্যই। আমার চেহারায় নাদুশনুদুশ শিশুসুলভ একটা ব্যাপার আছে। হয়তো এটা ওদের কপোট্রনিক মস্তিষ্কের বাবাসুলভ প্রবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলে। যার দরুন তারা আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য হয়। আর এ ব্যাপারটা আমার দায়িত্ব পালনে খুবই সাহায্য করে।
বসার ঘরের মাঝখানে অনড় পড়ে থাকা

বামন ভুত

লিখেছেন কুটুমবাড়ি (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০১০-০৬-১৭ ২০:১৭) @ সচলায়তন
ক্যাটেগরি : | | | |
একরাশ অস্বস্তি নিয়ে ঘুম ভাঙল রুদ্রের। প্রথমে কিছুক্ষণ কিছুই ঠাহর করে উঠতে পারল না। তারপর চোখ গেল হাতঘড়ির দিকে। সকাল ছয়টা বেজে পনেরো মিনিট। ব্যাপার কি, এত সকালে তো তার ঘুম ভাঙে না! এতক্ষণে ঘরের কোনার গাছটি লক্ষ করল সে। গাছ! তার শোবার ঘরের ভেতর গাছ আসল কোত্থেকে?
সাথে সাথে তড়াক করে বিছানায় উঠে বসল রুদ্র।
ঘরের মধ্যে একটি খুদে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। মেরেকেটে দেড় ফুট লম্বা হবে কি না সন্দেহ। পরনে কটকটে হলুদ

স্বর্গের টিকিট

লিখেছেন কুটুমবাড়ি (তারিখ: রবি, ২০১০-০৬-২৭ ১৭:৪৪) @ সচলায়তন
ক্যাটেগরি : | | | | |

স্বর্গে ভিড় বেড়ে গিয়েছিল খুব। একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হলো শুধু এক দিনের জন্য। ওইদিন স্বর্গে ঢুকতে হলে একটি বিশেষ শর্ত পূরণ করতে হবে।  শর্ত এই যে, মৃত্যুটা হতে হবে চরম দুর্ভাগ্যজনক কোনো দিনে।

বিচারের দায়িত্ব পেলেন জোনা পুত্র সেন্ট পিটার। যথারীতি তিনি স্বর্গের দুয়ারে বসে আছেন। লোকজন লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে স্বর্গের টিকিট পাওয়ার অপেক্ষায়। লাইনের প্রথম লোকটা মধ্যবয়স্ক, মাথাভর্তি উসকো-খুসকো চুল। সেন্ট পিটার তাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'বলো, তোমার জীবনের শেষ দিনটা কেমন ছিল?'

লোকটা বলল, 'ভয়ংকর! আমার বউয়ের বয়স ছিল আমার চেয়ে অনেক কম। তার ওপর বেজায় সুন্দরী। প্রতিবেশী অনেকেরই কুনজর ছিল তার দিকে, তাই তাকে চোখে চোখে রাখতে হতো। একসময় আমার সন্দেহ হলো এক প্রতিবেশীর সাথে তার ইটিশপিটিশ চলছে। তক্কে তক্কে রইলাম। একদিন বউকে শহরের বাইরে যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হলাম। আমি নিশ্চিত ছিলাম সে এই সুযোগটা নেবে, তাই তাড়াতাড়িই বাসায় চলে এলাম সেদিন। কিন্তু সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ওই রাস্কেলটাকে দেখতে পেলাম না। শেষে খুঁজতে খুঁজতে ব্যালকনিতে গেলাম। আমাদের ফ্ল্যাটটা ছিল বারো তলায়। ও মাগো, দেখি কি সেই খচ্চরটা ব্যালকনি থেকে ঝুলছে! আমি ঘরের ভেতর থেকে ইয়া বড় একটা হাতুড়ি নিয়ে এসে পেটাতে শুরু করলাম তার হাতের ওপর। সে গর্দভটা নিচে পড়ল ঠিকই, কিন্তু একটা ঝোপের ওপর গিয়ে পড়ল। তাই এবার ঘরের ভেতর গিয়ে আস্ত ফ্রিজটা তুলে এনে তার ওপর ছুড়ে মারলাম। অব্যর্থ নিশানা! ওটা সোজা তার মাথার ওপর গিয়ে পড়ল। কিন্তু এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আমার হার্ট অ্যাটাক হলো। আর মর্ত্যের মায়া কাটিয়ে আমি সোজা চলে এলাম এখানে।'

সেন্ট পিটার অস্বীকার করতে পারলেন না যে এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক দিন ছিল তার জন্য। তাই অন্যায় করা সত্ত্বেও তাকে ভেতরে ঢুকতে দিলেন। ওইদিন আরও যাদের মৃত্যু হয়েছিল তারা অপেক্ষা করছে কখন টিকিট পাবে। তিনি লাইনের দ্বিতীয় ব্যক্তিটিকে ডাকলেন।

'সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক ছিল সেই দিনটি।' দ্বিতীয় ব্যক্তিটি বলল। 'আমি আমার তেরো তলার ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে সামান্য ব্যায়াম করছিলাম। অসাবধানে উবু হতে গিয়ে রেলিং টপকে পড়ে যাই। যা হোক, কোনোমতে আমি নিচের ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ঝুলছিলাম। কিন্তু কোত্থেকে এক উন্মাদ এসে আমার হাতের ওপর হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। সৌভাগ্যবশত আমি কিছু ঝোপঝাড়ের ওপর গিয়ে পড়ি। কিন্তু, ওই পাগলটা এর পর আমার ওপর একটা ফ্রিজ ছুড়ে মারে!'

সেন্ট পিটার মুখ টিপে হাসলেন। তবে ঢুকতে দিলেন একেও। মনে মনে ভাবছেন তাঁর কাজটা সত্যিই উপভোগ্য হয়ে উঠতে শুরু করেছে। 'তোমার জীবনের শেষ দিনটা কেমন কেটেছিল?' তিনি জিজ্ঞেস করলেন লাইনে দাঁড়ানো তৃতীয় ব্যক্তিটিকে।

'বলছি। ছবিটা মনে মনে কল্পনা করুন, আমি নগ্ন, একটা ফ্রিজের ভেতর লুকিয়ে আছি....'

*একটি বিদেশি কৌতুক অবলম্বনে রচিত

শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০১০

বাংলাদেশ ভ্রমণ গাইড- ৪ | আবহাওয়া |

লিখেছেন কুটুমবাড়ি (তারিখ: শুক্র, ২০১০-০৮-০৬ ২০:১৪) @ সচলায়তন
ক্যাটেগরি : | | | | | | | | | |

কখন বেড়াবেন

ষড়ঋতু এখন শুধু পঞ্জিকার পাতায়, কার্যত বাংলাদেশে ঋতু বা মৌসুম চোখে পড়ে ৪টি—বর্ষা (জুন-সেপ্টেম্বর), শরৎ (অক্টোবর-নভেম্বর), শীত (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি), এবং গ্রীষ্ম মৌসুম (মার্চ-মে)।

ঘোরাঘুরির শ্রেষ্ঠ সময় মধ্য-অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ঘন নীল আকাশ, রোদেলা দিন এবং শুষ্ক আবহাওয়া নিয়ে এই সময় দিনের গড় তাপমাত্রা থাকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিলের মধ্যে এই তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায়