লিখেছেন কুটুমবাড়ি (তারিখ: রবি, ২০১০-০৬-০৬ ২২:১৩) @ সচলায়তন
ক্যাটেগরি : ব্লগরব্লগর | সমসাময়িক | দেশচিন্তা | ডিজিটাল সরকার | সববয়সী
দেশে কোনো সরকার আছে কি না এ নিয়ে অনেকেই সন্দিহান হয়ে পড়ছিলেন। সম্প্রতি সেইসব আপামর ম্যাঙ্গো পিপলকে দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছে সরকার বাহাদুর। ফেসবুক আবার চালু হয়েছে দেশে। সরকার যে দেশে ভালো কিছু চালু করতে পারেন তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। ক্যাটেগরি : ব্লগরব্লগর | সমসাময়িক | দেশচিন্তা | ডিজিটাল সরকার | সববয়সী
অনেক মুখপোড়াই বলেন যে সরকারের হ্যাডম নাই এম্রিকারে চটায়। তারা যে কত বড় বোকার
স্বর্গে বাস করছে তা সরকার আগেই প্রমাণ করেছিল ফেসবুক নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে। এক্ষনে, ফেসবুকরে নিষিদ্ধ গন্ধম মনে কইরা আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা যদি খাওয়ার জন্য লাইন না ধরে, তয় সেই দায়িত্ব সরকার বাহাদুর নিতে যাবে কোন দুঃখে?
এম্নিতেই অনেকে কইয়া বেড়ান দেশে কত অনাচার- কই কিছুই তো বন্ধ হয় না! তারা বোধ হয় ভুলে যান দেশটারে বাস (পড়ুন বাঁশ) যোগ্য করার জন্য সরকার কত কিছু বন্ধ করতাছে- চ্যানেল (ফলে প্রতিযোগিতা বাড়বে), খবরের কাগজ (কাগজের অপচয় কমবে), সামাজিক নেটওয়ার্ক (এগুলি নাকি চূড়ান্ত অসামাজিক)- আরও কত কিছু! এ ছাড়াও দেশে জীবনের নিরাপত্তা নাই বইলা যারা চিল্লায়া গলার রগ ছিঁড়া ফ্যালেন, তারা বোঝার চেষ্টা করেন না যে এতে অভিবাসীর হার বাড়বে, ফলে দেশ হাল্কা হওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভারী হবে। আর যারা বলেন, দেশে কত কিছু দরকার- কই কিছুই তো চালু হয় না! তাদেরও জবাব দেওনের একখান সুযোগ পাওয়া গেছে ফেসবুকরে নিষিদ্ধ গন্ধম বানানোর মাধ্যমে। কারণ ফেসবুক বন্ধ না করলে তা চালু করার সুযোগ পাওয়া যেত না, এখন প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার চাইলে ভালো (ফেসবুক যে ভালো তা কি এই কয় দিনে সবাই হাড়ে হাড়ে টের পান নাই?) কিছু চালু করার ক্ষমতা রাখে! আর কে না জানে এদেশে কিছু জনপ্রিয় করতে চাইলে বেশি ঘাম ফালানোর দরকার হয় না। স্রেফ জিনিসটা নিষিদ্ধ করে দিলেই জনপ্রিয় হয়ে যায় (যেমন তসলিমা নাসরিনের লেখা)! আসলে সরকারও চাচ্ছিল ফেসবুকরে জনপ্রিয় করতে (ডিজিটাল সরকার তো, তাই)।
এক্ষনে সবাই বেশি বেশি ফেসবুক ব্যবহার করবেন (এতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বিদেশে) এবং এই সদাচরণ সত্ত্বেও আর কেউ সরকারের মুণ্ডপাত (নিজের ঘাড়ে মুণ্ড রাখতে চাইলে) করবেন না- এটাই এই ডিজিটাল সরকারের প্রত্যাশা...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন